করোনা একটি ল্যাটিন শব্দ আর এই শব্দের অর্থ হচ্ছে মুকুট।
এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ।
ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে।
করোনা ভাইরাস এর ইতিহাস
★ করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়।
★ প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।
★ এই ভাইরাস টি বিভিন্ন সময় আরো বেশ কিছু প্রজাতি
পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে এসএআরএস-সিওভি ২০০৪ সালে এইচসিওভি এনএল৬৩ ২০০৫ সালে এইচকেইউ১ ২০১২ সালে এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয
পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে এসএআরএস-সিওভি ২০০৪ সালে এইচসিওভি এনএল৬৩ ২০০৫ সালে এইচকেইউ১ ২০১২ সালে এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয
★ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ২০১৯-এনসিওভি নামকরণ করে।
★ ৮ মার্চ পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১০৩টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ৩৬৪৬ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে
★ নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো ১,০৭,৩৫২ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৬০,৬৩৭ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেছে
★ অনেক গবেষক মনে করেন এই ভাইরাস টি সাপ থেকে এসেছে..
সুএ:- উইকিপিডিয়া
কোরোনাভাইরাস এর আক্রান্ত ব্যক্ত দের প্রাথমিক লক্ষণ ★ জার
★ অবসাদ
★ শুষ্ক কাশি
★ শ্বাস কষ্ট
★ গলা ব্যাথা
★ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
যেভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস

এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।
এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়।
এই ভাইরাস এর প্রতিরোধ বা প্রতিকার

ভাইরাসটি নতুন হওয়াতে এখনই এর কোনও টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এমনকি এমন কোনও চিকিৎসাও নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে মানুষকে নিয়মিত হাত ভালোভাবে
ধোয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং ঠান্ডা ও ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
ধোয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং ঠান্ডা ও ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডাক্তারদের পরামর্শ, বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।

করোনা ভাইরাস সমর্পকে জানতে বা জানাতে হটলাইন নম্বর
আপনার ও আপনার পরিবারের কারো করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ (IEDCR)-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।
সামাজিক দায়বদ্ধ অপারেটর হিসাবে বাংলালিংক জনস্বার্থে এই নম্বরগুলোতে বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য টোল ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে।




No comments:
Post a Comment